চিরকুট-০১
(বঙ্গবন্ধু; যার তর্জনী ফুঁড়ে ফুটেছিল একটি রক্তগোলাপ)
তুমি কি জানো!!!
তোমার রেখে যাওয়া মানচিত্রে
আজ
“ঔপনিবেশিক সারসের পাখায় ভেসে বেড়ায়
আধিপত্যবাদী মেঘ…”
অপারেশন সার্চলাইট
নৃ
শং
স
ত
ম হত্যাযজ্ঞের পর
প্রতারিত মুখে
বাঙালি!!
বুকে বুনেছিল রক্ত গোলাপ…
বাংলাদেশ
(লাল মোরগের ডানায় ভোরের আর্তি; “মওলানা ভাসানী আপনাকে”)
দাসখত লেখা হয়
প্রজন্মের উঠানে
ভোরের আলোয় চাষ হয় রোদের সোনালি সোনালি ক্রন্দন
উদ্বাস্তু চোখে বাস্তু হারানোর ভীষণ কষ্ট…
মানুষ
দাঁড়াশ সাপ তাড়া খেয়ে কও
আচমকা স্বপ্নে ঘুম ভাঙতো প্রাশয়ই,
সাপের ভয় বিস্তর আতঙ্কে কাটতো কাঠুরিয়া বউ
সংসার উপার্জনক্ষম সোয়ামির যদি কিছু হয় !!
ইউসুফ নবীরে স্বপ্নের মাঝে খুঁজে বেড়াতো রোজ
যদি স্বপ্নের ব্যাখা বলে দিতেন, দিতেন বুজ!
বজ্রপাতে আচমকা আগুন
সুখ পোড়ালো কাঠুরিয়া বউ!! বিদায় নিলো ফাগুন
কাঠপেনসিলের মতো শুকিয়ে যাওয়া অবয়ব
চৌকাঠে দাঁড়িয়ে পাহারা দ্যায় মহাকালের উৎসব
ইউসুফ নবীরে কাঠুরিয়া বউ স্বপ্নে করে না আর খোঁজ
মানুষ সাপে বিবর্তিত হচ্ছে যে রোজ।।
শীত
ছিন্নমূল মানুষের আয়ুষ্কাল
ঝরে পড়ে ক্ষণে ক্ষণে
অঝোর ধারায়,
কী!
গ
ভী
র
হৃদ্যতায়
শান্তাহার জংশনে…
চুম্বন
(তখন অস্তগামী সূর্য নিমগ্ন ছিল গোধূলির ওষ্ঠে)
অভিলাষের পানপাত্রে চুমু দিয়েই জেনেছি
শীতলক্ষ্যার দীর্ঘশ্বাস বয়ে নিয়ে; সন্ধ্যা মেয়ের ঘরে ফেরা।
ধ্রুপদী জোসনায় ভাসবে বলে, হয়তো তুমিও
কেঁদেছিলে সেদিন।
বি
ব
র্ণ হৃ
তা দ
য় য়
যেন যুদ্ধ বিধ্বস্ত টাইগ্রিস স্রোতস্বিনী।
আর মাদক সন্ধ্যায়,
তোমার ঠোঁট প্রকম্পিত তখন
অঙ্ক শেখার ভুল ধারাপাতে…
সুবর্ণা
হয়তো পৌষের কোনো এক রাতে
শিশিরস্নাত কুয়াশায় জবুথবু সকালে
“সুবর্ণা” একদিন ভুল করে ভালোবাসতো
কিংবা ভালোবেসেছিল; এখন তাচ্ছিল্যের
আগুন যতো
পোড়া মুখে সে ভীষণ ঘৃণা করে অবিরত
ঠিক তোরই মতো…
হয়তো ট্রেনের হুইসেল এঁকে দিতো তার মন
সবুজ ক্ষেত আঁকাবাঁকা পথ; চা বাগান সারি সারি
গোঁধূলি মাখানো জলপাই রঙের অভিমান,
হয়তো ট্রেন হুইসেল এঁকে দিতো তার পরাণ
ঘরে ফেরা পাখির তুমুল কলরব,
রাখাল বালকের গরুর পাল ফেলে
ডাহুকের পিছু পিছু ছুটে চলা অবিরাম ,
হেঁসেলে কৃষাণীর আবির রাঙা মুখ
হয়তো ট্রেন হুইসেল এঁকে দিতো তার
মনের কোঠরে বেঁধেছিলো যত সুখ!!
মতিহারের সবুজ চত্বর, আনমনে বসে কোন একদিন
দ্বাদশী চান্দের ঐশ্বর্য্য বুঝি এঁকেছিল দুরুদুরু বুকে
প্যারিস রোড হাতে হাত স্মিত হাসি ছিল মুখে
চোখে কাজল
হলুদ খামে ভরেছিল শত অভিমানের আঁচল
হয়তো সুবর্ণা, ভালোবাসার নামে সংগোপনে সাজিয়ে ছিল করুণার ফুলদানি, যতো
তাই বুঝি স্বপ্নঘোরে দেখি রোজ,
অবহেলা পান্ডুলিপি করে খোঁজ
তাচ্ছিল্যের বিষাদভরা মুখখানি, ঠিক তোরই মতো…
আমার পৃথিবীজুড়ে যখন সন্ধ্যা নামে, নিকষ কালো রাত; কুপির আগুনে সুবর্ণার “আগুনপাখি” মুখ হয়তো আকাশে আকাশে ভাসে,
নারিকেল দ্বীপ; হয়তো ডালে ডালে তার
হাসনাহেনা হাসে
বারবার আলো আঁধারের লুকোচুরির মাঝে
সুবর্ণা ফিরে আসে, আসে ফিরে হলুদ ব্যথার নিঃশব্দ নিঃশ্বাসে
ঠিক যেন তোর আবছায়া মুখ
বাদাম তোলা নৌকা নিয়ে দূর দ্বীপ ভাসে
সুবর্ণা একদিন ভুল করে ভালোবাসতো কিংবা
ভালোবেসেছিল; এখন তাচ্ছিল্যের আগুন যতো
পোড়া মুখে সে ভীষণ ঘৃণা করে অবিরত
ঠিক তোরই ম…
One Comment
মুগ্ধতা 💚