অনুপ্রাণন, শিল্প-সাহিত্যের অন্তর্জাল এ আপনাকে স্বাগতম!
মে ৫, ২০২৪
২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
মে ৫, ২০২৪
২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নুসরাত সুলতানা -
জাকির তালুকদারের পিতৃগণ

সময়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদারের লেখা আমি প্রথম পড়ি সৃজনশীল ওয়েবম্যাগ কাব্যশীলনে। কাব্যশীলনে `শত্রু সম্পত্তি’ গল্পটি পড়ে এতটাই অভিভূত হই, আমি লেখকের অন্যান্য বই পড়ার জন্য নিজের ভেতরে অধীর আগ্রহ টের পাই। সংগ্রহ করি `পিতৃগণ’।

উপন্যাসের আখ্যানভাগ : ১০৭০- ১০৭৭ সালে বাংলায় পাল শাসন আমলে বরেন্দ্রীতে কৈবর্ত জাতিরা পাল শাসকদের সাথে যুদ্ধ করে প্রতিষ্ঠা করেছিল নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র। কৈবর্তরা ছিল কৃষক ও জেলে সম্প্রদায়। ভূমিপুত্রদের ন্যায়নিষ্ঠ আন্দোলনকে সন্ধাকর নন্দী ও অন্যান্য ব্রাহ্মণবাদী ইতিহাসবিদ কালিপা লেপন করে বিকৃত ইতিহাস রচনা করছেন। শত সহস্র বছর পরেও যেন ভূমিপুত্রদের বীরত্বগাথা আর ন্যায়নিষ্ঠ আন্দোলন মানুষ জানতে পারে সেই চেষ্টা করেছেন কৈবর্ত কবি পপীপ। ভূমিপুত্রদের উত্তরসূরি হয়ে ইতিহাস আর কল্পনার চোখে তাদের বীরত্বকে ছুঁয়ে সত্য আবিষ্কার ও প্রতিষ্ঠায় ব্রত হয়েছেন সময়ের নান্দনিকতম কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদার।

কাহিনি সংক্ষেপ : ১০৭০-১০৭৭ সাল। তখন বাংলায় চলছে পাল শাসন। রাজা দ্বিতীয় মহীপাল।

বরেন্দিতে কোল, ভীল, রাজবংশীদের মতো কৈবর্তরাও একটি জাতি।

কৈবর্তরা সবসময় নিজের মাটি, নিজের বন, নিজের নদী, নিজের নারী নিয়ে সন্তুষ্ট থেকেছে। তারা কোনোদিন নিজেদের সীমানা ছেড়ে কোথাও যায়নি। অনেক ভিনদেশি এসেছে বরেন্দিতে মিঠা বাতাস, পানি, ভিটা আর শস্যের লোভে। বরেন্দি তাকে আশ্রয় দিয়েছে, একটু দূরে ঘর তুলে থাকতে দিয়েছে। বিনিময়ে সেইসব ভিনজাতি বরেন্দির ভূমিপুত্রদের নিজেদের দাস বানাতে চেয়েছে। কৈবর্ত জাতি বারবার নিজেদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হয়েছে।

আর্যরা ভারতের আর্যাবর্তে রাজ্য স্থাপন করলেও বাংলায় তারা সুবিধা করতে পারেনি। তাই তারা বাংলাকে ডাকত পাপাস্থান। বাংলা ঘুরে গেলে বিশেষ যোজ্ঞ করতে হত। গোপাল প্রথম বাংলায় পাল শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। ধর্মপাল পাল বংশের সবচেয়ে প্রতাপশালী রাজা। ধর্মপালও পেরে ওঠেনি কৈবর্তদের সাথে। ধর্মপালের সময় কৈবর্তরা বিদ্রোহ করলে কৈবর্তদের সব দাবি মেনে নিয়ে বিদ্রোহ রফা করতে হয়। তার মধ্যে অন্যতম হল কৈবর্তরা প্রাদেশিক অমাত্য (প্রতিনিধি) নিজেরা নির্বাচন করবে।

দ্বিতীয় মহীপালের রাজ্যে মহাঅমাত্য (মহামন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রী) ভট্টবামনের অঙ্গুলি হেলনে চলে পাল সাম্রাজ্য। পাল সাম্রাজ্যের আদিগন্ত ভট্টবামনের জন্য প্রশান্তিদায়ক। কেবল বরেন্দির কৈবর্ত গ্রামগুলো বিশেষ করে দেদ্দারপুর তার জন্য বিরক্তিকর ও অস্বস্তির। কারণ কৈবর্তদের প্রাদেশিক অমাত্য দিব্যোককে তিনি নিজে নিয়োগ দিতেও পারেননি আর দিব্যোককে তিনি দামি মদ আর আর্য বারাঙ্গনা দিয়ে কিনতেও পারেননি।

এর আগে কিনে নিয়েছেন প্রায় সব কৈবর্ত অমাত্যকে। ভট্টবামন যখন কৈবর্তদের নিয়ে কথা বলেন, তার মুখে ঘৃণা উপচে পড়ে। কারণ আর্যদের বিশ্বাস কৈবর্তরা অসুরের বংশধর। দিব্যোক নিজে কিছু লেখাপড়া জানে তাই সে বুঝে যায় আর্যদের নিয়ম-নীতি। আর পদ্মনাভের (পাল সাম্রাজ্যের সন্ধি প্রতিষ্ঠাকারী) সৌজন্যে পড়া হয়ে যাচ্ছে কৌটিল্য শাস্ত্রও। দিব্যোক বোঝায় স্বজাতিকে ভালো মন্দ। ভট্টবামন যখন কোনোকিছু দিয়েই কৈবর্তদের সাথে পারে না। তখন চিন্তা করেন, কৈবর্তদের ওপর চাপিয়ে দেবেন অর্থ বোঝা। দেদ্দারপুরে একের পর এক বানানো হয় বিষ্ণু মন্দির, বৌদ্ধ মঠ। গ্রামের পর গ্রাম দান করা হয় দেবতা আর মঠের ব্যয় নির্বাহে।

বছরের পর বছর দেদ্দারপুরে চলবে বৌদ্ধ মঠ আর বিষ্ণু মন্দির আর তার ব্যয় নির্বাহ করবে অসুর, নিরক্ষর আর বোকা কৈবর্ত জাতি।

আগে রাজাকে ফসলের ছয়ভাগের এক ভাগ দিলেই চলত। নদী থেকে মাছ ধরা, বনে গিয়ে শিকার করা সবকিছুতে কৈবর্তরা ছিল স্বাধীন। কিন্তু বিষ্ণু মন্দির আর বৌদ্ধ মঠের নামে গ্রামের পর গ্রাম দান করার পর হিন্দু পুরোহিত আর ভিক্ষুরা নদীতে নামলে জলের কর চায়, বনে গেলে বনের কর দাবি করে, কৈবর্ত সামর্থ্য পুরুষদের বেগার খাটায়, আড়ালে আবডালে কৈবর্ত নারীদের শরীরী নির্যাতন করতে চায়। কৈবর্তদের জীবন থেকে সুখ, শান্তি, আনন্দ সব কেবলই হারিয়ে যেতে থাকে। কৈবর্তরা মনে-প্রাণে চায় দিব্যোক এইসব বিষয় নিয়ে মহারাজ মহীপালের সঙ্গে কথা বলুক।

দিব্যোক সবাইকে জানায়, সময় এলে দিব্যোক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সবাইকে নিয়ে।

ক্ষেত্রপূজা কৈবর্তদের শ্রেষ্ঠ উৎসব। এইদিন কৈবর্ত যুবক-যুবতীরা নৃত্যের তালে তালে জমিতে সঙ্গম করে জমিকে প্রস্তুত করে জমি যেন ঠিক সময়ে পোয়াতি হয়ে ভরিয়ে দেয় শস্যে। সেই কৈবর্ত পূজার দিন ভট্টবামনের প্রতিনিধি বিষ্ণু মন্দিরের পুরোহিত শ্রীবৎস পালস্বামীর ভাড়াটে যুবকরা এসে ভণ্ডুল করে দেয় ক্ষেত্রপূজা। ফেলে দেয় ওলান ঠাকুরের প্রতিমূর্তি (কৈবর্তদের দেবতা)।

ফুঁসে ওঠে কৈবর্তরা। ওলান ঠাকুরের নাম নিয়ে হাজার হাজার কৈবর্ত দিব্যোকের নেতৃত্বে যাত্রা করে গৌড়ের অভিমুখে। অভিযান ঠাণ্ডা মাথার উগ্র (দিব্যোকের পরামর্শদাতা) এমনভাবে সাজিয়েছে যেন মনে হয় কৈবর্ত যুবকরাই বিদ্রোহ করছে।

দিব্যোক খুব চেষ্টা করবে; দ্বিতীয় মহীপালকে বিশদভাবে বুঝিয়ে বলতে যে কীভাবে কৈবর্তরা রাজপুরুষ, পুরোহিত ও ভিক্ষু দিয়ে নির্যাতিত হচ্ছে। গৌড়ে পৌঁছালে দিব্যোকদের বাইরে অপেক্ষায় রাখা হয়। মহারাজের দেখা করার অনুমতি নেওয়ার নামে কালক্ষেপণ করা হয় আর চালাকি করে রাজসেনারা বৃষ্টির মতো তীর ছুড়তে থাকে কৈবর্তদের দিকে। প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিল কৈবর্তরাও।

ভট্টবামনের কূটচালে মহীপালের সব সৈনিক তখন দাক্ষিণাত্যের রাজা চোল রাজের সাথে পদ্মাতীরে যুদ্ধে ব্যস্ত। বাকি ছিল রাজধানীর নিয়মশৃঙ্খলা রক্ষায় অল্প কয়েকজন সৈন্য।

কৈবর্তরা কচুকাটা করে মহীপালের সৈনদের। কোনো এক কৈবর্ত যোদ্ধার তীর গিয়ে লাগে মহীপালের বুকে। মহীপালের ছোট ভাই রামপাল কোষাগারের সব অর্থ আর স্বর্ণ, রোপ্য নিয়ে পালিয়েছে পাশের রাজ্যে।

বহুদিনের দাসত্বের শৃঙ্খল ভেঙে কৈবর্তরা ফিরে পায় বরেন্দি সাথে পুন্ড্র। কৈবর্তরা বীরদর্পে ঘুরে বেড়ায় পুরো গৌড় এখানে শেষ হয় প্রথম পর্ব।

দ্বিতীয় পর্বে দেখা যায় দিব্যোকের উদারতায় বরেন্দি থেকে সমস্ত হিন্দু পুরোহিত আর বৌদ্ধ ভিক্ষুরা সমস্ত স্বর্ণ অলংকার নিয়ে চলে যায় আর রামপালের সাথে যোগ দেয়। এর মধ্যে কেটে গেছে বেশকিছু বছর।

রামপালের আর্য রক্ত কিছুতেই ভূমিপুত্রদের সাথে পরাজয় মেনে নিতে পারে না। কাহ্নুর দেব, মথন দেব, সুবর্ণ দেব মোট আঠারো সামন্ত মহাসামন্ত নিয়ে রামপাল অগ্রসর হয় বরেন্দি অভিযানে ভীমের বিরুদ্ধে। আর্যদের পোষ্যকবি সন্ধাকর নন্দী কৈবর্তদের নিন্দা করে মিথ্যা কাব্যরচনা করে আর রামপালের লোকরা তা বিভিন্ন স্থানে পড়ে শোনায়। তারই জবাব দিতে রামশর্মার ইক্ষুখেতের দাসজীবন থেকে পালিয়ে বরেন্দিতে ফিরছে কৈবর্ত কবি পপীপ।

কৈবর্ত নারী পুরুষরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পুণ্ড্র-বরেন্দি-গৌড়ের পূর্ব-উত্তর সীমান্ত জুড়ে নির্মাণ করছে প্রতিরক্ষা বাঁধ যার নাম ভীমের জাঙ্গাল।

সেনাপতি মল্ল প্রশিক্ষণ দিচ্ছে কৈবর্ত যুবকদের। মল্ল, ভীম মিলে কথা বলে রাজবংশী, কোল, ভীল সবার সাথে। অন্যান্য জাতিও যোগ দেয় কৈবর্তদের সাথে। রামপালের যেমন আছে অশ্ববাহিনী, কৈবর্তরা পোষ মানিয়েছে বুনো মহিষ।

নির্দিষ্ট দিনে গঙ্গাতীরে রামপাল আর তার সঙ্গী আঠারো সামন্তের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হয় ভূমিপুত্ররা। প্রথম দিনেই রামপালের বাহিনী কৈবর্ত যোদ্ধাদের সাথে নাস্তানাবুদ হয়।

রামপালরা বুঝে গিয়েছিল কৈবর্ত যোদ্ধাদের সাথে তারা পারবে না। রামপালরাই বানিয়েছিল যুদ্ধের নিয়ম। তার মধ্যে অন্যতম ছিল নিরস্ত্রকে কেউ আঘাত করতে পারবে না। রাতে কোনো যুদ্ধ হবে না। সেই রামপালেরই বাহিনী রাতের অন্ধকারে আগুন লাগিয়ে দেয় কৈবর্তদের তাঁবুতে। শেষ হয় শৃগাল আর্যশাসক রামপালের সাথে অসম যুদ্ধ।

রামপাল জানে যুদ্ধে সে জেতেনি। ক্রোধে আর হিংসায় আদেশ দেয় কোনো কৈবর্ত যোদ্ধার দেহ সৎকার হবে না। চলে যায় রাত এবং পরের পুরোদিন। রামপালের প্রহরীরা কাউকে ঘেঁষতে দেয়নি মৃতদেহগুলোর দিকে। শুরু হয়েছে পচন।

হঠাৎ প্রহরীরা দেখতে পায়, এগিয়ে আসছে মশাল। বাধা দিতে গিয়ে দেখে শত শত মশাল। আক্রমণ করতে গিয়ে দেখে এগিয়ে আসছে শত শত নারী, বৃদ্ধ, শিশু, প্রৌঢ়। তারা বুক চাপড়ে বিলাপ করছে। বিলাপ করছে কৈবর্ত, কোল, ভিল, রাজবংশী, শবর নারী-পুরুষ। বিলাপ করছে ভিন্ন ভাষায় কিন্তু সেই ভিন্ন ভাষার কান্না একটি সমন্বিত রূপ পরিগ্রহ করে। শত বছর পর মানুষ জানবে সেই সমন্বিত ভাষাই বাংলা ভাষা।

শোকে মুহ্যমান নারী-পুরুষ বীরদের উঠায় এক অভিন্ন চিতায়। সেই চিতা থেকে একটি মুষ্টিবদ্ধ হাত বলে, আমি আবার আসব, সহস্র বছর পরে হলেও আসব এই জাতির মুক্তি হয়ে।

পাঠক হিসেবে আমার অনুভূতি : চুম্বক যেমন লোহাকে টানে, ‘পিতৃগণ’ উপন্যাস ও আমাকে সেভাবেই টেনেছে। হাজার বছরের পূর্বের কৈবর্ত জীবন লেখক এমনভাবে এঁকেছেন আমি যেন চোখের সামনে দেখতে পেয়েছি সেই জনপদ। কৈবর্তদের ন্যায়নিষ্ঠ যুদ্ধ, তাদের আত্মসম্মানবোধ, মানবতা, প্রেম সকলকিছু। এর আগেও ‘সংশপ্তক’ উপন্যাসটি আমার ভালো লেগেছিল। শহীদুল্লা কায়সারও আমার ভীষণ প্রিয় একজন লেখক। ‘সংশপ্তক’ও ঐতিহাসিক মহাকাব্যিক উপন্যাস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের প্রেক্ষাপটে `সংশপ্তক’ রচিত। কিন্তু জাকির তালুকদার-এর ‘পিতৃগণ’ আমাকে শেকড় চিনিয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে বরেন্দির ভূমিপুত্ররাই (কৃষক, জেলে) প্রতিষ্ঠা করেছিল স্বাধীন রাষ্ট্র যা টিকেছিল দীর্ঘ ৩৭ বছর।

তাঁরাই ছিল আমাদের পূর্বসূরি। সেই রাষ্ট্রে নারী-পুরুষের সমতা ছিল, মানবতা ছিল, প্রেম ছিল, পরিশ্রম ছিল, ছিল ন্যায়বিচার। জাকির তালুকদার-এর কাছে শেকড় চেনার ঋণ।

যা বিশেষভাবে বলতে চাই : পিতৃগণ পড়ার পর আমি গুগলে গিয়ে ‘কৈবর্ত বিদ্রোহ’ লিখে সার্চ দিই। দেখতে পাই উইকিপিডিয়া দিব্যোককে লিখেছে একজন পাল কর্মচারী। লিখেছে কৈবর্তরা যেহেতু জেলে ছিল আর পালরাজারা ছিল বৌদ্ধ তাই মাছ শিকার নিয়েই পাল রাজাদের সাথে বিপ্লব হয়। আরও অনেক মিডিয়া এসব মিথ্যা ইতিহাস লিখে রেখেছে। এসব মিথ্যা ইতিহাস এবং ইতিহাসবিদদের অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে ঘৃণা জানাচ্ছি এবং সত্য উন্মোচনের দাবি জানাচ্ছি।

একই সাথে বাংলা একাডেমির কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি উপন্যাসটি ইংরেজিসহ আরও অনেক ভাষায় অনুবাদ করে যেন সমস্ত বিশ্ববাসীর সামনে উন্মোচন করা হয় ভূমিপুত্রদের বীরত্বগাথা। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে দাবি জানাচ্ছি, যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয় বাংলা সাহিত্য সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা হোক ‘পিতৃগণ’। সবাই জানুক ভূমিপুত্রদের ন্যায়নিষ্ঠ যুদ্ধ আর বীরত্বগাথা।

পরিশেষে বলতে চাই, তিন শত পৃষ্ঠার একটি বইয়ের আলোচনা এত স্বল্প পরিসরে করা সম্ভব না। তাই প্রিয় পাঠক, আপনিও পড়ুন। বইটি ছুঁয়ে দেখুন নিজের শিকড়।

বই : পিতৃগণ
লেখক : জাকির তালুকদার
প্রকাশক : রোদেলা প্রকাশনী
প্রচ্ছদ : শিবু কুমার শীল
মূল্য : ৩৫০ টাকা

 

+ posts

নামঃ নুসরাত সুলতানা।
পিতাঃ শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধা আবুয়াল ইসলাম খান(মৃত)
মাতাঃ শিক্ষিকা মোসাঃখালেদা বেগম(মৃত)
বর্তমান ঠিকানঃ স্বামী ও একমাত্র পুত্র সন্তান নিয়ে বর্তমানে মিরপুর সেনানিবাসে বসবাস করছেন।

পড়াশোনাঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
পেশাঃ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ মিলিটারী ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি তে সিভিলিয়ান ষ্টাফ অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন।

লেখালেখিঃ
সাহিত্যের প্রতি ঝোঁক সেই ছোট বেলা থেকেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই লেখালেখি করতেন। মাঝখানে ছেড়ে দেন। গত ছয় বছর নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ। লেখালেখি - তাঁর আত্মার মুক্তি। গল্প, কবিতায় আঁকতে চান--

প্রেম,বিদ্রোহ, স্বপ্ন,স্মৃতি, জীবন,প্রকৃতি স..ব!!

প্রকাশিত গ্রন্থঃ

ছায়া সহিস (একক কাব্য গ্রন্থ) -২০১৯
গহিন গাঙের ঢেউ (একক কাব্য গ্রন্থ) -২০২০
পায়রার পায়ে আকাশের ঠিকানায়(পত্রকাব্য সংকলন) -২০২১
মৌতাত - (একক গল্পগ্রন্থ)  --২০২২
মহাকালের রুদ্রধ্বনি- (একক কাব্যগ্রন্থ)- ২০২২।।

এছাড়াও নিয়মিত লিখছেন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে দেশ বিদেশের বিভিন্ন লিটল ম্যাগ এবং ওয়েব ম্যাগে।

Read Previous

একজন মন্ত্রীর একদিন

Read Next

শিল্প-সাহিত্যের অন্তর্জাল, অনুপ্রাণন- ৩য় সংখ্যা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *