অনুপ্রাণন, শিল্প-সাহিত্যের অন্তর্জাল এ আপনাকে স্বাগতম!
এপ্রিল ২৮, ২০২৪
১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
এপ্রিল ২৮, ২০২৪
১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নুসরাত সুলতানা -
হারকিউলিস মাদার

হালকা গোলাপি রঙের জামা, গোলাপি জর্জেট ওড়না  আর কালো রঙের সেলোয়ার পরে বিউটি সেদিন  বাসা থেকে বেরিয়েছে। যে করেই হোক আজ কাল্লুকে ধরতেই হবে তার।

গতকাল কাল্লুর সঙ্গে কথা হয়েছে। বলেছে মিরপুর বারো মোল্লা মার্কেটে দেখা করতে। মোল্লা মার্কেট এখন ঝলমলে শপিং মল। একসময়ের জীর্ণ-শীর্ণ কাঁচাবাজার আর নেই। কিন্তু ভেতরে আছে সবজি আর মাছের বাজার । বিউটি মার্কেটে গিয়ে ফোন দেয় কাল্লুকে। কাল্লুকে দূর থেকে দেখেই বিউটি এক নির্জন কোণে চলে যায় আর জর্জেট ওড়না সরিয়ে কালো অন্তর্বাস বের করে রাখে। কাল্লুর হাতে গুঁজে দেয় একটা মিষ্টি পান। কাল্লুকে বিউটি হাসি হাসি মুখ করে বলে,

– তুমি তো আমার মাইয়া রুমারে ইন্ডিয়া নিয়া চাকরি দিছ হেয়তো টেকা পয়সাও পাটাইতাছে। আমারেও ইন্ডিয়ায় চাকরি দেও কাল্লু ভাই। কাল্লু খুশিতে আটখানা হয়ে বলে,

 – কও  কি ভাউজ! তুমি ইন্ডিয়া যাবানি? তাইলে তো স্যারগো কওন লাগবো। বিউটি অন্তর্বাসের ভেতর থেকে বিশ টাকা বের করে কাল্লুর হাতে দিয়ে বলে,

– ভাইগো সিগরেট খাইও। তুমি আমার ধর্মের ভাই লাগো। কয়েক বছর খাইট্টা আহি। টাকা-পয়সা জমাইয়া বাড়িত যাইয়া একটা ঘর তুলমু আর আর দুইটা অষ্ট্রেলিয়ান গাই কিনমু। তুই একটা ব্যবস্থা কর ভাইডি।

বারো নাম্বারের বস্তিতে ফিরেই বিউটি বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে শুরু করে। বিউটির স্বামী মহসিন এসে আস্তে করে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলে,

– আল্লাহরে ডাক বিউটি। ক্যান লোভ করছিলাম!  না খাইয়া থাকতাম! রুমারে ক্যান ইন্ডিয়া পাডাইতে চাইলাম! বিউটি বলে,

– আমরা কি বোজতে পারছি যে এইরহম ঘটনা ঘডবে!

মহসিন বিউটিকে বুঝিয়ে বলে,

-যুদ্দের ময়দানে আবেগ, ভয় কোনোডা জায়গা দিতে নাই বিউটি। তাইলে নিশ্চিত মরণ তুই মনের দিক থিকা আরও শক্ত অ। তোরে বাঘের ডেরায় যাইয়া বাঘ মাইরা জিততা আইতে অইব। আল্লাহর ওপর ভরসা রাখ আর মনে রাক জোর।  তোর স্বামীর দোয়া লগে আছে। তুই কামে যা আমি রিসকা লইয়া বাইর অইলাম।

 সন্ধ্যায় মহসিন বাজার থেকে কাঁচা হলুদ এনে বিউটির হাতে দিয়ে বলে; নে বৌ কাচি অলদি মাকবি সমস্ত মুখ, গলা, আতে(হাতে) তোরে য্যান অরা দেইকখাই পছন্দ করে।

বিউটি বলে, আল্লায় জানে শ্যাষম্যাশ না মা-মাইয়া দুইজনেই চিরজীবনের লাইগা আইটকা যাই! মহসিন ভরসা দেয়,  চিন্তা করিস না বৌ আল্লাহর দয়া আর স্বামীর দোয়া লগে লইয়া আগে বাড়। এক লহমায় সব মনে পড়ে যায় বিউটির।

মহসিন আর বিউটির চার ছেলে-মেয়ে। দুই ছেলে, দুই মেয়ে। রুমা ওদের বড়ো মেয়ে।  ষোলো বছরের রুমা কাজ করত গার্মেন্টসে। গার্মেন্টসেই পরিচয় দারোয়ান আক্কাস আলীর সঙ্গে। রুমা যখন গার্মেন্টসে প্রবেশ করতো; তখনই আক্কাস আলী দেখত তার চৌত্রিশ সাইজের সমুন্নত বক্ষ, সুডৌল নিতম্ব, পুরু-মাংসল ঠোঁট আর ডাগর চোখ। উজ্জ্বল শ্যামবর্ণের রুমা পঞ্চান্ন বছর বয়স্ক আক্কাস আলীকে চাচা বলেই ডেকেছে। কখনো তার চোখে অন্যকিছু খুঁজতে যায়নি। অবুঝ -সরল মন আর কাঁচা বুদ্ধি এতটা বুঝতেও চায়নি হয়তো বা।

একদিন আক্কাস আলী বলে,

– রুমা শুন মা তরে নিজের মাইয়ার নাহান জানি। একটা কতা কমু? রুমা হাসি দিয়া কয় কও চাচা। আক্কাস আলী বলে,

-আমার নিজের মাইয়ারে ইন্ডিয়া পাডাইছি কামে। ইন্ডিয়া অনেক টেকা বেতন দেয়। এহানে কয় টাকা পাস? আমি বাড়িতে দুই বিঘা জমিন রাখছি। বাড়ির কাম ধরমু আগামী মাসে। বিশ্বাস না অয় এক সময় ল (চল) আমার লগে নিজের চোহেই দেইক্কা আবি। আর গ্রামের হগল লোকজনরে জিগাইয়াও আবি। রুমা বলে,

-চাচা আমি  মা আর আব্বারে জিগাইয়া তোমারে জানামু।

রাতে বারো নাম্বার বস্তিতে খেতে বসেছে ছয়জন মানুষ।

রুমা, রফিক, রাবেয়া,রাসেল চার ছেলে-মেয়ে আর বিউটি আর মহসীন। বিউটিকে আজ  সুইটি ম্যাডাম বড়ো এক বক্স পোলাউ দিয়েছে। তাছাড়া কতগুলো মাছের মাথা দিয়ে দিয়েছে। ম্যাডামদের বাসার রুই মাছের মাথা, বাসি তরকারি, মুরগীর গিলা কলিজা সবসময়ই বিউটিকে দেয়। আজও দিয়েছে প্রায় দশটা মুরগীর গিলা কলিজা। দুপুর তিনটায় কাজ থেকে ফিরেই বিউটি মাছের মাথা ভুনা করেছে, আলু দিয়ে গিলা-কলিজা ভুনা করেছে। পোলাওগুলো গরম করেছে। মহসিন গিয়ে কিনে এনেছে এক লিটার কোকাকোলা। ছেলে-মেয়েরা খুব খুশি। সন্তানদের খুশি হতে দেখলে সুখে বিউটির কলিজার গোড়ায় ব্যথা করে ওঠে।  আর রুমা তার সবচেয়ে বড়ো মেয়ে। বড়ো লক্ষীমন্ত মেয়ে বিউটির। মা-বাবার সমস্যা সেই ছোটোবেলা থেকেই বোঝে। কোনোদিন বেশি বায়না ধরেনি। বস্তির ঘরে যেন চাঁদের হাট বসেছিল সেদিন।

খেতে খেতে কথা উঠায় রুমা। বলে,

– আব্বা, মা একটা কতা হুনো। আক্কাস চাচায় কয় হের মাইয়ায় নাকি ইন্ডিয়া গেছে গার্মেন্টসে চাকরি করতে। হেয় বোলে অনেক অনেক টেকা পাটায়। আক্কাস চাচায় জমি কিনছে, আবার বাড়ির কাম ধরবো। বিশ্বাস না করলে একসময় হের লগে গ্রামের বাড়ি যাইয়া দেইক্কা আইতে কইছে। বিউটি শুনে জিজ্ঞেস করে,

-কতদিন বাদে আইতে দিবো? রুমা বলে,

-দুইবছর বাদে আইতে দিবো। আর হেরপর আর না গেলে নাই। দুই বছর তুই থাকতে পারবি? শুধায় বিউটি। বিউটির বুকের গভীরে ব্যথা করে ওঠে। মহসিন বলে,

– দুইবছর দেকতে দেকতে কাইট্টা যাইব। তুই একবারে বেশি কিছু টেকা নিয়া আইলে বাড়িত গিয়ে ঘর তুলমু আর এদিকে তোর মায় যদি কিছু জমায় দুইটা গাই কিনমু, তোর মায় হাঁস-মুরগী পালবে। সবাই বাড়িত থাকবি আমি ঢাকায় আরও কিছুদিন কাম করমু। তোরে বিয়া দিমু আর রফিকরে এইট পাস করাইয়া ড্রাইভারি শিখামু। বিয়ের কথা শুনে রুমার মুখে রক্তিম আভা দেখা দেয়। মহসিন বলে,

– একদিন আমি যাইয়া তর আক্কাস চাচার সঙ্গে কতা কইয়া তারপর যা অয় করমু। তুই এহনই কিছু জানাইস না।

পরের দিন গার্মেন্টসের গেটে রুমার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় কাল্লুকে। বলে শুন রুমা এই অইল কাল্লু যে আমার মাইয়ারে ইন্ডিয়াতে নিয়া কাম দেছে। তর ব্যপারেও কতা কইছি আমি অর লগে। তুই যদি যাইতে চাস তর যাওনের ব্যবস্তা করবে। কাল্লু সঙ্গে সঙ্গে বলে,

-চাচা তুমি যহন কইছ তোমার মাইয়ার নাহান তহন কি আর না নিয়া পারি? রুমা জানিয়েছে চাচা আব্বায় আইয়া তোমার লগে কতা কইবে। আক্কাস আলী পান খাওয়া ঠোঁটে, কাঁঠালের  মতো ভুরি দুলিয়ে হাসতে হাসতে  রুমার পিঠে হাত মোছা দিয়ে বলে,

– আচ্ছা মাইয়া। কামের ফাঁকে ঠিকমতো খাইয়া লইস।

তার দুইদিন পর আক্কাস আলীর সাথে দেখা করতে যায় মহসিন। আক্কাস আলী কাল্লুকেও ফোন করে ডাকে। গার্মেন্টের সাথেই চায়ের দোকানে কাল্লু আর আক্কাস আলী মহসিনকে চা-বিস্কুট, কলা খাওয়ায়।

কাল্লু বলে,

– আক্কাস চাচায় যহন কইছে তহন একদম চিন্তা করবেন না মিয়াভাই। আপনের মাইয়া খুব যত্নে পাডাইয়া দিমু। শেষে আবার পান খাওয়ায় মহসিনকে।

তারপরের দিন কাল্লু রুমাকে বলে,

– শুন রুমা আগামীকাল তোমার ছবি তুলমু। একটু সাজগোজ কইরা আইও গার্মেন্টসে। লাল রঙের থ্রি-পিস  জর্জেট ওড়না , চোখে কাজল আর লাল লিপিস্টিক পিন্দা আইও। রুমা হাসতে হাসতে কয় চাকরিতে চেহারা দেকব? চোখে চোখে কথা বলে নেয় কাল্লু আর আক্কাস আলী।

ছবি তোলার তিনদিন পর কাল্লু রুমাকে জানায়,

– তোমার চাকরি হইয়া গেছে। আগামী শনিবার তুমি ব্যাগ গুছাইয়া আমার লগে যাইবা। আমি তোমারে যাগো লগে ইন্ডিয়া যাবা হেগো কাছে পৌঁছাইয়া দিয়ামু।

রুমার বুকের ভেতরটা যেন দুরুদুরু করে কেঁপে ওঠে। মুখে শুকনো হাসি ফুটিয়ে  দাঁতে ওড়না কামড়াতে কামড়াতে বলে,

-আইচ্ছা কাল্লু ভাই বাসায় যাইয়া মায়রে কমুনে।

বিউটি মেয়েকে আচার বানিয়ে দেয়, আমসত্ত্ব দেয়, তেলের পিঠা বানিয়ে দিতে চায়। রুমা এতকিছু নিতে চায় না। বিউটি সুইটি ম্যাডামের কাছ থেকে ভালো দুই তিনটি থ্রিপিস এনে দিয়েছে। কিনে দিয়েছে আরও তিনটি থ্রিপিস। কাঁদতে কাঁদতে লাল হয়ে গিয়েছে মা-মেয়ে দুজনেরই চোখ। রুমা বিউটিরে বলে, মা

– ভাইগো দিকে আর বুইনের দিকে ভালো কইরা খেয়াল রাইক্কো। অরা জানি পড়ালেহা ঠিকমতো করে। এবার বিউটি  ডুকরে কেঁদে ওঠে।  কিন্তু মুখে কিছুই বলে না। রুমার থেকে কান্না লুকায়। বিউটি ব্যাগ গুছিয়ে মহসীন আর বিউটি দুজনে মিলে রুমাকে নিয়ে যায় কাল্লুর কাছে মিরপুর বারো নাম্বারে। শেষবার মেয়ে, মাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে কেঁদে ওঠে।  কাল্লু রুমাকে নিয়ে যায় মিরপুর দশ নাম্বারে।  ভুলু সেখান থেকে একটা সিএনজি-তে করে শ্যামলীতে নিয়ে যায় রুমাকে। শ্যামলী থেকে একটা বড়ো কালো মাইক্রোবাস রাত বারোটার দিকে সাতক্ষীরার দিকে এগুতে থাকে।

কালো ক্লাসের এসি গাড়িতে বসে আছে বিশজন ১৫ থেকে ২৫ বছরের তরুণী। কারো মাথা ঘুরাচ্ছে, কারো বমি আসছে, কেউ কেঁদে চলেছে। সকল তরুণীরাই গাড়ির কাঁচ খুলে দিতে বলছে। কিন্তু কিছুতেই খোলা হয় না গাড়ির কাঁচ। গাড়ি সাতক্ষীরা গিয়ে পৌঁছায় রাত একটায়।

গাড়ির সাথে আসা জামাল বলে,

– বিশজনকে তিনটি সেফ হোমে নিয়ে যেতে হবে। কথাটা কানে লাগে রুমার। বিশজন তরুণীকে নেয়া হয় তিনটা বাড়িতে। রাতে খেতে দেয়া হয় মুরগীর মাংস, ভাত, ডাল, ডটা শাক ভাজি। যে বাড়িতে নেয়া হয় সেই বাড়ির নারীরা বলে,

-খাওন, পরন, সাজ, পোশাক কোনো কিছুরই অভাব হইব না। খালি এট্টু মানাইয়া লইতে হইব।

রাত তিনটায় নৌকাযোগে বেলায়েত, স্বপন আর জামাল এইতিনজন তিন ভাগ হয়ে পার হয় সীমান্ত। একজনের সাথে মোট ছয়জনের একেকটা দল পৌঁছে যায় বেলায়েতের সেফ হোমে। ওদেরকে সাহায্য করে বিএসএফ-এর দুজন সদস্য। ওপারে গিয়েই রুমা বুঝতে পারে সে পাচার হয়ে গেছে। আর তখনই সে বাংলাদেশে মাকে জানাতে অস্থির হয়ে ওঠে।

এই সেফ হোমে তরুণীদের থাকতে হবে প্রায় পনেরো -বিশ দিন। তৈরি হবে আধার কার্ড (ভারতের জাতীয় পরিচয় পত্র)। একদিন খুব সকালে রুমা বের হয় শ্যাম্পু আর রেজার কেনার কথা বলে দোকানে। ওই সময়েই সে দোকানিকে অনুরোধ করে তার মায়ের সাথে কথা বলতে চায়। দোকানি তার ফোন হাতে দিয়ে বাংলাদেশের নাম্বার ডায়াল করে দেয়। তিন মিনিটের ভেতর রুমা মাকে জানায় সে পাচার হয়ে গেছে। কোলকাতায় আছে সেফ হোমে। কাঁদতে কাঁদতে বলে,

-মা আমারে এইহান থিকা নিয়া যাও। আমারে বাঁচাও।

-আমি এই বেশ্যাবাড়ি জীবন কাডাইয়া দিতে পারমু না।

-তোমার দোহাই লাগে মা, আমারে বাঁচাও!

এরপরই শুরু হয় বিউটির ইচ্ছা করে পাচার হওয়ার পরিকল্পনা।

সেফহোমে শুরু হয়েছে মেয়েদের রূপচর্চা আর অপেক্ষাকৃত শুকনো মেয়েদের শরীরে গোশত লাগার জন্য খাওয়া দাওয়া। কারণ মধ্যবয়স্ক পুরুষরাই পতিতালয়ে বেশি আসে। উনাদের হাড্ডিসার নারী পছন্দ না। বুক অন্তত ৩৬ আর নিতম্ব ৪০-৪২ হলে তাদের খুব চাহিদা। রুমার বুক ৩২ আর নিতম্ব ৩৬। তাই রুমাকে পানি ভাত খেতে দেয়া হয় বেশি করে। আধার কার্ড পেয়ে গেছে রুমা। রুমা আরও শুকিয়ে গেছে কিন্তু তার গায়ের রঙ আরেকটু ফর্সা হয়েছে। রুমাকে দেয়া হয়েছে বিহারের একমেসেজ পার্লার আর একই সাথে আছে একটা বার। প্রথম দিনেই মালকিন রুমাকে বুঝিয়ে দিয়েছে কি করে খদ্দেরকে বেশি খুশি করা যায় আর নিজেও আনন্দ পাওয়া যায়।

রুমা কাঁদতে কাঁদতে বলেছে,

– মইরা গেলেও আমি এই কাজ করতে পারমু না।

সন্ধ্যা হতেই মালকিন বলে,

-আয় তোরে স্মার্ট কইরা সাজায়া দেই। তাকে দেয়া হয়েছে  ফোমওয়ালা অন্তর্বাস, স্কীনটাইট গেঞ্জি, জিন্স, কানে বড়ো দুল। ঠোঁটে লাল লিপিষ্টিক। রুমা যদিও কাঁদতে থাকে কিন্তু এক পর্যায়ে মালকিন ভয় দেখায়,

-বেশি বাড়াবাড়ি করলে আমার ভাড়া খুনি দিয়া খুন কইরা গাঙ্গে ফালায়া দিয়া আহুম। এক লাখ সত্তুর হাজার দিয়া তোরে কিনছি যা কই ঠিকঠাক মতো কতা শুন। এরপর ভয় পেয়ে যায় রুমা।

সন্ধ্যা হতে না হতেই চলে আসে অনুপম লাহিড়ী। এসে মালকিন সুবর্ণা ব্যানার্জিকে বলে কিগো এত ঘটা করে খবর দিয়েছ যে! নতুন মিষ্টি এসেছে নাকি? সুবর্ণা বলে, হ্যাঁ ভাই বাংলাদেশ থেকে রসগোল্লা এসেছে। এরপর এসি রুমে দরোজা খুলে প্রবেশ করে অনুপম লাহিড়ী। বায়ান্ন বছর বয়স্ক লাহিড়ী পেশায় ইংরেজির অধ্যাপক। নিত্যনতুন কিশোরী শরীর তার নেশা। সুবর্ণা ব্যানার্জিকে বলা আছে নতুন কাউকে যেন সেই সবার আগে চেখে দেখতে পারে।

ঘরে প্রবেশ করার পরই রুমা গুটিয়ে যায়। বলে,

– আপনি আমার বাবার মতো। আমাকে নষ্ট করবেন না। লাহিড়ী বলে,

-আমি তোমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তোমাকে স্পর্শ করবো না। তোমার সাথে একসাথে সময় কাটাবো আর গল্প করবো। লাহিড়ী বলে আসো আমরা একটা সিনেমা দেখি। তুমি তো ইংরেজি বোঝো না, আমি তোমাকে বুঝিয়ে দেবো। লাহিড়ী ইউটিউব থেকে বের করে রোমান্টিক মুভি সুইট নভেম্বর।  সিনেমা চলতে চলতে লাহিড়ী ঘনিষ্ঠ হয় রুমার সাথে। সিনেমায় নায়ক -নায়িকা একটা দ্বীপে। যেই দ্বীপে নীল সমুদ্রের জল আছড়ে পড়ছে তীরে। পাখি উড়ছে। স্বচ্ছ টলমল জলে দেখা যাচ্ছে  বিভিন্ন রঙের মাছ। মৃদুমন্দ বাতাস বইছে। নায়ক মুগ্ধ চোখে নায়িকাকে দেখছে। নায়ক ঠোঁটজোড়া বসিয়ে দিয়েছে নায়িকার ঠোঁটে। লাহিড়ীও তখন রুমার মুখটি দুহাতে ধরে ঠোঁটে  ঠোঁট বসিয়ে চুষে শুষে নিতে থাকে সুধা। তারপর গলা, ঘাড় সবজায়গা চুমু খেতে থাকে। লেহন করে কানের লতি। ততক্ষণে রুমা অনেক উত্তেজিত হয়ে পড়েছে। আর বাঁধা দিচ্ছে না। এরপর লাহিড়ী রুমার স্তনের বোটা চুষে তাকে আরও অস্থির করে তোলে। এভাবেই রুমার শ্রেষ্ঠ সম্পদের সমর্পণ হয় নিজের চেয়ে বয়সে তিনগুণ বড়ো একজন পুরুষের কাছে। লাহিড়ী একরাতে রুমাকে তিনবার ভোগ করে এবং বোঝায় যে রুমার এই জীবন উপভোগ করা ছাড়া আরকিছুই করার নেই। বরং সে যেন নিজের নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখে এবং খদ্দেরকে কন্ডম ব্যবহার করতে বলে। যদিও লাহিড়ী কনডম ব্যবহার করেনি।

পরেরদিন সকালে লাহিড়ী বের হয়ে যাবার সময় সুবর্ণাকে বলে তুমি আমার প্রাণের সই। এ মাসটা আমি বাঁধা খদ্দের এর ভেতর ওর ঘরে আর কাউকে ঢুকিও না। আমি তোমাকে দেড়গুণ টাকা দেব। সুবর্ণা হাসিমুখে ঘাড় কাত করে সম্মতি জানায়। লাহিড়ী বেরিয়ে যেতেই বলে মাগি খেকো খাটাশ প্রফেসর একটা!

ঘুম থেকে উঠে রুমা বুঝে যায় অন্ধকার দরিয়ায় তার জীবন ডুবে যাচ্ছে। বুক ফেটে কান্না আসে। এমন সময় মালকিন তার ঘরে পাঠিয়ে দেয় দুটো ডিম পোচ, পরোটা, আর গর্ভ নিরোধক পিল।  খাবার একপাশে পড়ে থাকে রুমা ঘুমায় বেলা বারোটা অব্দি। প্রচণ্ড ক্ষুধায় ঘুম ভেঙে গেলে রুমা উঠে খেয়ে নেয়।পাঞ্জিপাড়ায় মেয়ে যখন মুক্তির জন্য খাঁচার পাখির মতো ডানা ঝাপটায়। বাংলাদেশে মিরপুর বারোতে তখন মা চুড়ান্ত পরিকল্পনা আঁটে পাচার হয়ে ভারতে যাবার জন্য।

বিউটির চাকরি নিয়ে ইন্ডিয়া যাওয়া ফাইনাল হয়ে গেছে। রুমা তাকে সব পথই বলে দিয়েছে। এক সকালে কাল্লুর সঙ্গে বের হয় বিউটি। পেছনে পড়ে থাকে বস্তির স্যাঁতস্যাঁতে ঘর, স্বামীর বাহু, দুই পুত্রের খিদায় ভাত চাওয়া, নিজের পরম যত্নে গড়া হাঁড়িকুঁড়ি বাসন-কোসন সমেত সংসার। সবার দোয়া আর ভালোবাসা সঙ্গে নিয়ে নিধুয়া পাথারে পাড়ি জমায় বিউটি।

বিউটির দৃঢ় বিশ্বাস ছিল রুমা যেখানে আছে সেখানেই তাকে নিয়ে যাওয়া হবে। কিন্তু বিউটিকে পাচার করে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লীতে। বিউটিকে দিল্লীতে যে বাড়িতে নেয়া হয় সেখানে পাহাড়ার দায়িত্বে থাকে মিঠু চক্রবর্তী। বিউটি রুমার ছবি দেখায় মিঠুকে। মিঠু জানায় রুমা বিহারে। বিউটি সব খুলে বলে মিঠুকে। কেনো বিউটি ইচ্ছা করে বিক্রি হয়েছে। সে যেকোনো কিছুর বিনিময়ে মেয়েকে নিয়ে দেশে ফিরতে চায়। মিঠু শর্ত দেয় শরীর দিতে হবে বিউটিকে। একরাত মিঠু খেলবে ইচ্ছামতো। তারপর ভোর রাতে তাকে পালাতে সাহায্য করবে। বিউটি মিঠুকে বলে,

– আমার সোনার দুল জোড়া তুমি নেও মিঠু ভাই। বেঁচলে অন্তত দশ হাজার টাকা পাবা। মিঠু বলে,

 -ধুউর সোনার দুল না আমি তোমার সোনাডা চাই। বিউটি নিজের জীবনের বিনিময়ে হলেও মেয়েকে মুক্ত করতে চায়। তাই শরীর যদি তাকে দিতেই হয় কিছুই করার নেই।

 সেইরাতে মিঠু বিউটিকে আগেই বলে দিয়েছে সে যেন কাপড় জড়িয়ে না থাকে। শুধু অন্তর্বাস পরে থাকে যেন আর ভালো করে গোসল করে শরীর যেন পরিষ্কার করে রাখে। মিঠু আসে রাত এগারোটায়। এসেই বলে,

-আয়লো  মাগি। বহুদিন মাগি চুদি না। আইজ তরে রাইতভর মন ভইরা চুদমু। দেহি তোর দুধ দুইডা। তুই তো চাইড্ডা পোলাপান বিয়াইছছ।  নে আগে বাড়াডা চুষে মাল খেয়ে ফেল। বিউটি কিছুতেই শিস্ন মুখে নিতে চায় না। মিঠু গালি দিয়ে বলে,

-খানকি মাগি মা-মাইয়া দুইজনেই বেশ্যাবাড়ি সারাজীবন কাটাইতে চাইলে কিছু করিস না। আর যদি মুক্তি চাস যা কই শোন। অবশেষে বিউটি লেহন করতে শুরু করে মিঠুর শিস্ন। মিঠু বিউটির গায়ে চাপানো গাউনটা টেনে খুলে ফেলে। ব্রেশিয়ারের ওপর দিয়েই টিপতে থাকে বিউটির স্তন।  বিউটির শরীর শিরশির করে ওঠে। ঢাকায় যখন কাজ করেছে বিভিন্ন সময় দরোজার আড়ালে বয়স্ক পুরুষ মানুষ তার শরীরে হাত দিয়েছে। কিন্তু টের পাওয়ার সাথে সাথেই বিউটি সরে গেছে। পাবলিক বাসেও বিভিন্ন সময় স্তনে হাত দিয়েছে বিভিন্ন পুরুষ। কিন্তু বিয়ের পর  স্বেচ্ছায় সে কোনো পুরুষকে শরীর দেয়নি। বিয়ের আগে এক খালাতো ভাইয়ের সাথে সঙ্গম হয়েছে দুই বার। মিঠুকে বিউটি কেবল অনুরোধ করতে নেয়,

-মিঠু ভাই মাফ কইরা দেওন যায় না?  অমনি মিঠু বলে,

-চুপ কর ভোদা মারানি, খানকি মাগি! এই বলে বিউটির স্তনের বোটা চুষতে শুরু করে। তিনবার ভোগ করে বিউটিকে মিঠু।

শেষবার সঙ্গম শেষে বলে,

-এত মাগী দেহি কিন্তু চুদতে পারি না! আজ তোমারে চুইদ্দা ধোনার জ্বালা মিটাইলাম। এই চোদা আমি জীবনেও ভুলমু না ভাউজ। এমন বালের চাকরি করি ছয় মাসেও বৌয়ের ধারে যাইতে পারি না। আহারে কত্তদিন মাইয়াডারে দেহি না! ভোর চারটায় মিঠুর সহায়তায় বিউটি পালিয়ে আসে বিহারের পাঞ্জিপাড়ায়। মিঠুই বিউটিকে বাসে উঠিয়ে দেয়।

পৌঁছাতে পৌঁছাতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেছে। বিউটি দেখতে পায়, চায়ের দোকানে কিছুলোক চা খাচ্ছে আর গল্প করছে। বিউটি গিয়ে বলে,

-আপনাদের সঙ্গে এট্টু কতা কইতে চাই। একজন মধ্যবয়সী লোক এগিয়ে এসে বলে,

– জি বলেন বোন। বিউটি বলে,

– আমাকে একটু চেয়ারম্যান-এর কাছে নিয়া যাইবেন?  লোকটা জিজ্ঞেস করে,

– আপনি কোথা থেকে আসছেন?  তখন বিউটির চোখ কোটরে ঢুকে গিয়েছে। পেটে প্রচণ্ড ক্ষুধা। বিউটি বলে আমি ঢাকার মিরপুর বারো থেইকা আইছি ভাইজান। পরে বিউটি লোকটাকে বলে যে,

-আপনি আমাকে চেয়ারম্যান এর কাছে নিয়ে চলেন সেইখানে যাইয়াই সব কমু।

চেয়ারম্যান বাড়িতে সন্ধ্যায় বসেছে মজলিস। চেয়ারম্যান সাহেব আয়েশ করে বেনসন রেড সিগারেট ফুঁকছে। এর ভেতর দেবজিত (অই পথচারী)  বলে,

– চেয়ারম্যান চাচা তোমার সাথে বাংলাদেশ থিকা আসা এক মহিলা দেখা করতে চায়। চেয়ারম্যান  ফিরোজ খান অবাক হয়ে বলেন,

-বাংলাদেশ থেকে আসা মহিলা আমাকে খোজে ক্যান? ডাকো তারে। বিউটি প্রথমেই গিয়ে চেয়ারম্যানকে ভাই আমি ইচ্ছা কইরা নারী পাচারকারীদের কাছে পাচার অইয়া ইন্ডিয়া আইছি।

আমারে নিয়া গেছিল দিল্লী। দিল্লী থেইকা আমি পালাইয়া আইছি। আমার মাইয়া এই পাঞ্জিপাড়ায় পতিতালয়ে আছে। আমার মাইয়াডারে উদ্ধার কইরা দেন ভাই। চেয়ারম্যান অবাক বিষ্ময়ে তাকিয়ে বলে,

-তুমি ইচ্ছা করে পাচার হইছ!  মেয়েরে উদ্ধার করতে?

বিউটি কাঁদতে কাঁদতে বলে,

– চেয়ারম্যান ভাই মাইয়ার কান্দন হুইন্না আমার আরকিছু করার আছিল না। আমি মনে করছিলাম যে আমারেও এই একই পতিতালয়ে নিয়া আইবে। কিন্তু আমারে নিয়া গেল দিল্লী। বাংলাদেশে আমার আরও তিনডা সন্তান আছে, দয়া কইরা আমার মাইয়াডারে উদ্ধার কইরা দেন। আমি আপনের লাইগা নফল নামাজ পইড়া দোয়া করমু।

সব শুনে চেয়ারম্যান ফিরোজ খান বলে,

-ঠিক আছে তুমি বোন আজকে রাতটা আমার বাড়ি থাকো। কাল সকালে চেষ্টা করে দেখি। চেয়ারম্যানতার স্ত্রী আফরোজা খানকে ডেকে বলে,

-এই আপা বাংলাদেশ থেকে আসছে। রাতে আমাদের বাড়ির মেহমান। উনি কেনে আসছে আমি তোমাকে পরে খুলে বলবো।

রাতে ভাত খেয়ে বিউটি ঘুমিয়ে যায়। পরেরদিন সকাল ছটায় চেয়ারম্যান পুলিশের ওসিকে নিয়ে ঘেরাও করে পাঞ্জিপাড়া পতিতাপল্লী। তখন কোনো কোনো খদ্দের-এর শিশ্ন তার আকাঙ্ক্ষিত পতিতার যোনীতে। কেউ বা রাতভর দৈহিক উষ্ণতার সূতোয় সুখের চাদরে গায়ে দিয়ে এলিয়ে পড়েছে ঘুম দেবীর বুকে। মালকিন সুবর্ণা হাতে নিয়েছে  ব্ল্যাক কফি সমেত নেসক্যাফের মগ।

এরই ভেতর পুলিশ নক করে দরোজা। আর খোঁজ করে সুবর্ণাকে। সুবর্ণা ওসি প্রফুল্লকে দেখে রীতিমতো অবাক হয়! বলতে যায় গত সপ্তাহেই তো বুঝিয়ে দিয়ে এসেছি এই মাসের মাসোহারা। এর মধ্যেই ওসি আঙুলের ইশারায় চুপ করতে বলে। আর বলে ম্যাডাম আমাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে এখানে অবৈধ দেহ ব্যবসা হয়। আর চারিদিকে পুলিশ ঘেরাও করা আছে। সব মেয়েগুলোকে বের করেন। আর চোখের ইশারায় শান্ত হতে বলে। বের করা হয় সব মেয়েদের। কেউ কেউ পেটিকোট, ব্লাউজ পরেই এসে দাঁড়িয়েছে। কেউ গায়ে শুধু ম্যাক্সি চাপিয়ে চলে এসেছে। এর মধ্যেই রুমা বিউটিকে দেখে ঝাঁপিয়ে পড়ে বুকে। চেয়ারম্যান বিউটি আর রুমাকে নিয়ে চলে যায়। আর ওসি সবগুলো মেয়েকে কাপড় পরিয়ে সেন্ট্রিকে থানায় নিয়ে আসতে বলে। আর সুবর্ণাকে বলে,

-আপনি থানায় আসবেন।

চেয়ারম্যান বিউটি আর রুমাকে বলে,

– তোমরা আমার বাড়ি সকালের নাস্তা খেয়ে সীমান্তের দিকে রওয়ানা দিতে পারো। চেয়ারম্যান-এর বাড়ি থেকে এগারোটার দিকে বের হয় বিউটি আর রুমা। প্রায় বিকেল পাঁচটা বেজে যায় ঝিনাইদাহ  সীমান্তে পৌঁছাতে। সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বি. এস. এফ) আটক করলে বিউটি পুরোটা খুলে বলে আর পাচারকারী বাহিনীতে কারা আছে সেটাও জানায়। এরপর বি.এস. এফ অবহিত করে বিজিবিকে।

এরপর দুই দেশের পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মা-মেয়েকে তুলে দেয়া হয় বিজিবির কাছে। বিজিবি বিউটি আর রুমাকে মহেশখালী থানায় হস্তান্তর করা হয়। ঝিনাইদাহ সরকারী কলেজে চৌদ্দদিন কোয়ারেন্টিন শেষ করে মেয়েকে নিয়ে মিরপুর বারোর বস্তিতে ফিরে আসে হারকিউলিস মাদার বিউটি। দেশে এসে কাল্লু, বিলাল, সোহাগ আরও সব দুষ্কৃতিদের পুরো নাম -ধামসহ  নারী পাচারকারীদের কীর্তিকলাপ সবিস্তারে বিউটি জানায় পল্লবী থানার পুলিশকে। কিন্তু ভারতীয় সীমান্ত, মহেশখালী আর মিরপুর পল্লবী থানার পুলিশের একইরকম রহস্যজনক আততায়ী নৈশব্দ গভীরভাবে পরিলক্ষিত হয়।

 

লেখকঃ নুসরাত সুলতানা
কবি ও কথাকার
পড়াশোনা- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনায় স্নাতক ও স্নাতোকোত্তর।
পেশা- মিলিটারি ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজিতে সিভিলিয়ান স্টাফ অফিসার হিসেবে কর্মরত।
লেখালেখি- প্রকাশিত বই চারটি
১. ছায়া সহিস- কাব্য গ্রন্থ
২.গহিন গাঙের ঢেউ- কাব্য গ্রন্থ
৩.পায়রার পায়ে আকাশের ঠিকানায়- পত্রকাব্য সংকলন
৪. মৌতাত- গল্প গ্রন্থ।
নিয়মিত জাতীয় পত্রিকা, লিটল ম্যাগ ও অন্তর্জালে লিখছেন গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ।

+ posts

নামঃ নুসরাত সুলতানা।
পিতাঃ শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধা আবুয়াল ইসলাম খান(মৃত)
মাতাঃ শিক্ষিকা মোসাঃখালেদা বেগম(মৃত)
বর্তমান ঠিকানঃ স্বামী ও একমাত্র পুত্র সন্তান নিয়ে বর্তমানে মিরপুর সেনানিবাসে বসবাস করছেন।

পড়াশোনাঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন।
পেশাঃ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ মিলিটারী ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি তে সিভিলিয়ান ষ্টাফ অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন।

লেখালেখিঃ
সাহিত্যের প্রতি ঝোঁক সেই ছোট বেলা থেকেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই লেখালেখি করতেন। মাঝখানে ছেড়ে দেন। গত ছয় বছর নিয়মিত লিখে যাচ্ছেন কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ। লেখালেখি - তাঁর আত্মার মুক্তি। গল্প, কবিতায় আঁকতে চান--

প্রেম,বিদ্রোহ, স্বপ্ন,স্মৃতি, জীবন,প্রকৃতি স..ব!!

প্রকাশিত গ্রন্থঃ

ছায়া সহিস (একক কাব্য গ্রন্থ) -২০১৯
গহিন গাঙের ঢেউ (একক কাব্য গ্রন্থ) -২০২০
পায়রার পায়ে আকাশের ঠিকানায়(পত্রকাব্য সংকলন) -২০২১
মৌতাত - (একক গল্পগ্রন্থ)  --২০২২
মহাকালের রুদ্রধ্বনি- (একক কাব্যগ্রন্থ)- ২০২২।।

এছাড়াও নিয়মিত লিখছেন বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে দেশ বিদেশের বিভিন্ন লিটল ম্যাগ এবং ওয়েব ম্যাগে।

Read Previous

অচিনপাখি

Read Next

একটি অমীমাংসিত গল্প

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *